মেয়েদের বাচ্চা না হওয়ার কারণ ও প্রতিকার নারীদের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা

মেয়েদের বাচ্চা না হওয়ার কারণ:
১. ডিম্বাশয় ও ডিম্বনালীতে সমস্যা:

ডিম্বাণু তৈরি না হওয়া: বয়স বৃদ্ধি, জিনগত ত্রুটি, থাইরয়েড সমস্যা, কেমোথেরাপি, ডিম্বাশয়ের অস্ত্রোপচার ইত্যাদি কারণে ডিম্বাণু তৈরি না হতে পারে।
ডিম্বস্ফোটন না হওয়া: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS), ওজন বৃদ্ধি, মানসিক চাপ, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণে ডিম্বস্ফোটন নাও হতে পারে।
ডিম্বনালীতে বাধা: যৌন সংক্রামিত রোগ (STIs), এন্ডোমেট্রিওসিস, ডিম্বনালীতে টিউমার ইত্যাদি কারণে ডিম্বনালীতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
২. জরায়ুতে সমস্যা:

জরায়ুর আকৃতিগত ত্রুটি: জরায়ুর জন্মগত ত্রুটি, অস্ত্রোপচারের দাগ, এন্ডোমেট্রিওসিস ইত্যাদি কারণে জরায়ুর আকৃতিগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
জরায়ুর ভেতরের আবরণের সমস্যা: এন্ডোমেট্রিওসিস, পাতলা জরায়ুর আবরণ, জরায়ুর আবরণে ইনফেকশন ইত্যাদি কারণে ভ্রূণ স্থাপন হতে পারে না।
৩. অন্যান্য কারণ:

বয়স: বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে নারীর প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়।
ওজন: অতিরিক্ত ওজন বা অতিরিক্ত কৃশতা প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
জীবনধারা: ধূমপান, অ্যালকোহল পান, মাদকদ্রব্য সেবন, অনিয়মিত ঘুম, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি প্রজনন ক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে।
মানসিক চাপ: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ প্রজনন ক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রতিকার:
চিকিৎসকের পরামর্শ: বাচ্চা না হওয়ার কারণ নির্ণয়ের জন্য একজন প্রজনন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ওষুধ: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, ডিম্বস্ফোটন না হওয়া ইত্যাদি সমস্যার জন্য ঔষধ প্রদান করা হতে পারে।
আইভিএফ (IVF): ডিম্বাণু ও শুক্রাণুকে কৃত্রিমভাবে নিষিক্ত করে জরায়ুতে স্থাপন করা হয়।
আইইউআই (IUI): শুক্রাণুকে জরায়ুতে সরাসরি প্রবেশ করানো হয়।
জরায়ুর অস্ত্রোপচার: জরায়ুর আকৃতিগত ত্রুটি, এন্ডোমেট্রিওসিস ইত্যাদি সমস্যার সমাধানে অস্ত্রোপচার করা হতে পারে।
**জীবনধারা

যেসব কারণে নারীদের বন্ধ্যাত্ব হয

নারীদের বন্ধ্যাত্বের কারণ:
১. ডিম্বাশয় ও ডিম্বনালীতে সমস্যা:

ডিম্বাণু তৈরি না হওয়া: বয়স বৃদ্ধি, জিনগত ত্রুটি, থাইরয়েড সমস্যা, কেমোথেরাপি, ডিম্বাশয়ের অস্ত্রোপচার ইত্যাদি কারণে ডিম্বাণু তৈরি না হতে পারে।
ডিম্বস্ফোটন না হওয়া: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS), ওজন বৃদ্ধি, মানসিক চাপ, ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ইত্যাদি কারণে ডিম্বস্ফোটন নাও হতে পারে।
ডিম্বনালীতে বাধা: যৌন সংক্রামিত রোগ (STIs), এন্ডোমেট্রিওসিস, ডিম্বনালীতে টিউমার ইত্যাদি কারণে ডিম্বনালীতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
২. জরায়ুতে সমস্যা:

জরায়ুর আকৃতিগত ত্রুটি: জরায়ুর জন্মগত ত্রুটি, অস্ত্রোপচারের দাগ, এন্ডোমেট্রিওসিস ইত্যাদি কারণে জরায়ুর আকৃতিগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে।
জরায়ুর ভেতরের আবরণের সমস্যা: এন্ডোমেট্রিওসিস, পাতলা জরায়ুর আবরণ, জরায়ুর আবরণে ইনফেকশন ইত্যাদি কারণে ভ্রূণ স্থাপন হতে পারে না।
৩. অন্যান্য কারণ:

বয়স: বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে নারীর প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়।
ওজন: অতিরিক্ত ওজন বা অতিরিক্ত কৃশতা প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
জীবনধারা: ধূমপান, অ্যালকোহল পান, মাদকদ্রব্য সেবন, অনিয়মিত ঘুম, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদি প্রজনন ক্ষমতাকে কমিয়ে দিতে পারে।
মানসিক চাপ: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ প্রজনন ক্ষমতার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
কিছু বিশেষ কারণ:

পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS): এটি একটি হরমোনজনিত সমস্যা যা ডিম্বস্ফোটন ব্যাহত করে।
এন্ডোমেট্রিওসিস: এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে জরায়ুর ভেতরের আবরণের মতো টিস্যু জরায়ুর বাইরে বৃদ্ধি পায়।
ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক: যৌন সংক্রামিত রোগ, এন্ডোমেট্রিওসিস, অস্ত্রোপচারের টিস্যু ইত্যাদি কারণে ফ্যালোপিয়ান টিউব ব্লক হতে পারে।
জরায়ুর টিউমার: ফাইব্রয়েড, পলিপ ইত্যাদি জরায়ুর টিউমার প্রজনন ক্ষমতাকে প্রভাবিত করতে পারে।
অজানা কারণ: কিছু ক্ষেত্রে, বন্ধ্যাত্বের
মেয়েদের বাচ্চা না হওয়ার কারণ কি

মেয়েদের বাচ্চা না হওয়ার বেশ কিছু কারণ থাকতে পারে।

প্রধান কারণগুলো হল:

১) ডিম্বাশয় ও ডিম্বনালীর সমস্যা:

ডিম্বাণু তৈরি না হওয়া: মেয়েদের জন্মের সময় নির্দিষ্ট সংখ্যক ডিম্বাণু থাকে, যা বয়সের সাথে সাথে কমতে থাকে। 40 বছরের পর ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণমান কমে যায়, ফলে গর্ভধারণের সম্ভাবনাও কমে যায়।
ডিম্বস্ফোটন না হওয়া: প্রতি মাসে একবার ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের হয়, যাকে ডিম্বস্ফোটন বলে। কোন কারণে ডিম্বস্ফোটন না হলে গর্ভধারণ সম্ভব নয়।
ডিম্বনালীর সমস্যা: ডিম্বনালী ডিম্বাণুকে জরায়ুতে বহন করে। ডিম্বনালীতে কোন সংক্রমণ বা বাধা থাকলে ডিম্বাণু জরায়ুতে পৌঁছাতে পারে না এবং গর্ভধারণ সম্ভব হয় না।
২) জরায়ুর সমস্যা:

আরো পড়ুনঃ   মাথা ব্যাথার কারণ কমানোর ঘরোয়া উপায় ৫ টি টিপস সেরা ১০ টি ওষুধ

জরায়ুর আকৃতিগত ত্রুটি: জরায়ুর আকৃতিতে ত্রুটি থাকলে ভ্রূণ স্থাপন ও বৃদ্ধিতে সমস্যা হতে পারে।
জরায়ুর প্রদাহ: জরায়ুর প্রদাহের ফলে ভ্রূণ স্থাপন ও বৃদ্ধিতে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
এন্ডোমেট্রিওসিস: এটি একটি অবস্থা যেখানে জরায়ুর ভেতরের আস্তরণ জরায়ুর বাইরে বৃদ্ধি পায়। এটি গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
৩) হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:

থাইরয়েড হরমোনের সমস্যা: থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ডিম্বস্ফোটন ও গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রোল্যাক্টিন হরমোনের সমস্যা: অতিরিক্ত প্রোল্যাক্টিন হরমোন ডিম্বস্ফোটন ব্যাহত করতে পারে।
৪) অন্যান্য কারণ:

বয়স: 35 বছরের পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমতে থাকে।
জীবনধারা: ধূমপান, অ্যালকোহল পান, মাদকদ্রব্য সেবন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও অপর্যাপ্ত ঘুম গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমাতে পারে।
মানসিক চাপ: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমাতে পারে।
লিঙ্গসঙ্গমের সমস্যা: যদি সঠিক সময়ে সঠিকভাবে লিঙ্গসঙ্গম না হয়, তাহলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যায়।
উল্লেখ্য যে,
পুরুষের কারণেও সন্তান না হতে পারে।

মেয়েদের বাচ্চা হয় না কেন

মেয়েদের বাচ্চা না হওয়ার একাধিক কারণ থাকতে পারে।
নারীর ক্ষেত্রে:

ডিম্বাণুর সমস্যা:
ডিম্বাণু না থাকা: জন্মগতভাবে ডিম্বাণু না থাকা বা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ডিম্বাণু অপসারণের ফলে।
ডিম্বাণুতে ত্রুটি: ডিম্বাণুতে জিনগত ত্রুটি থাকলে গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
ডিম্বাণু পরিপক্ক না হওয়া: ডিম্বাণু যদি সঠিকভাবে পরিপক্ক না হয়, তাহলে গর্ভধারণ সম্ভব নয়।
ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যা:
ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকা: ইনফেকশন, এন্ডোমেট্রিওসিস, বা অন্যান্য কারণে ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ হয়ে গেলে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু একে অপরের সাথে মিলিত হতে পারে না।
ফ্যালোপিয়ান টিউবের ক্ষতি: ফ্যালোপিয়ান টিউবের ক্ষতি গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে।
জরায়ুর সমস্যা:
জরায়ুর আকৃতির অস্বাভাবিকতা: জরায়ুর আকৃতিতে অস্বাভাবিকতা থাকলে গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
জরায়ুর গহ্বরে আঠালো টিস্যু (এন্ডোমেট্রিওসিস): এন্ডোমেট্রিওসিস গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে।
জরায়ুর পেশীতে টিউমার (ফাইব্রয়েড): ফাইব্রয়েড গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা:
থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ডিম্বস্ফোটন ও গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
প্রোল্যাক্টিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: প্রোল্যাক্টিন হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ডিম্বস্ফোটন ব্যাহত করতে পারে।
বয়স:
নারীর বয়স ৩৫ বছরের বেশি হলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যায়।
৪০ বছরের পর গর্ভধারণের সম্ভাবনা অনেক কম।
জীবনধারা:
ধূমপান: ধূমপান গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে।
অতিরিক্ত মদ্যপান: অতিরিক্ত মদ্যপান গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে।
স্থূলতা: স্থূলতা গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে।
পুরুষের ক্ষেত্রে:

শুক্রাণুর সমস্যা:
শুক্রাণু না থাকা: জন্মগতভাবে শুক্রাণু না থাকা বা অস্ত্রোপচারের মা

দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কারন

দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে।
বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যায়। ৩৫ বছরের পর থেকে গর্ভধারণের সম্ভাবনা দ্রুত হ্রাস পায়।
ডিম্বাশয়ের সমস্যা: ডিম্বাশয়ের কার্যকারিতা কমে গেলে বা ডিম্বাণুতে সমস্যা থাকলে গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যা: ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ডিম্বাণু ও শুক্রাণু একে অপরের সাথে মিলিত হতে পারে না।
জরায়ুর সমস্যা: জরায়ুর আকৃতি অস্বাভাবিক হলে বা জরায়ুর ভেতরে কোনও সমস্যা থাকলে গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা ডিম্বস্ফোটন ব্যাহত করতে পারে এবং গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে।
জীবনযাত্রার ধরণ: ধূমপান, অ্যালকোহল পান, মাদক সেবন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকা গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে।
মানসিক চাপ: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে।
পুরুষের ক্ষেত্রে:

শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতিশীলতা কমে যাওয়া: শুক্রাণুর সংখ্যা বা গতিশীলতা কমে গেলে গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
যৌন স্বাস্থ্যের সমস্যা: যৌন সংক্রামিত রোগ, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, বা অন্যান্য যৌন স্বাস্থ্যের সমস্যা গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
জীবনযাত্রার ধরণ: ধূমপান, অ্যালকোহল পান, মাদক সেবন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় থাকা শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতিশীলতা কমিয়ে দিতে পারে।
মানসিক চাপ: দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ শুক্রাণুর সংখ্যা ও গতিশীলতা কমিয়ে দিতে পারে।
অন্যান্য কারণ:

আরো পড়ুনঃ   Young people should also be careful: 4 common symptoms of heart attack in women

অজানা কারণ: অনেক ক্ষেত্রে, দ্বিতীয় বাচ্চা না হওয়ার কোনও সুনির্দিষ্ট কারণ বের করা যায় না।
পরিবেশগত কারণ: দূষণ, কীটনাশক, এবং অন্যান্য পরিবেশগত বিপদ গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে।
ভাগ্য: কখনো কখনো ভাগ্যের পরিহাসেও দ্বিতীয় বাচ্চা নাও হতে পারে।
কী করবেন?

যদি আপনি দ্বিতীয় বাচ্চার জন্য চেষ্টা করছেন এবং দীর্ঘদিন ধরে সফল হতে পারছেন না, তাহলে একজন ডাক্তারের সাথে

বাচ্চা না হলে কোন ডাক্তার দেখাতে হয়
বাচ্চা না হলে একজন গাইনি (gynecologist) ডাক্তার দেখাতে হবে। গাইনি ডাক্তাররা নারীর প্রজনন স্বাস্থ্যের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ।

কখন ডাক্তার দেখাবেন:

বিবাহিত দম্পতিরা যদি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নিয়মিত গর্ভধারণের চেষ্টা করেও সফল না হন।
৩৫ বছরের বেশি বয়সী নারীরা যদি ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নিয়মিত গর্ভধারণের চেষ্টা করেও সফল না হন।
যদি আপনার অনিয়মিত মাসিক, প্রচণ্ড ব্যথা, যোনিপথ থেকে রক্তপাত, বা অন্যান্য প্রজনন সম্পর্কিত সমস্যা থাকে।
ডাক্তারের সাথে দেখা করার সময়:

আপনার গর্ভধারণের ইতিহাস, আপনার সঙ্গীর গর্ভধারণের ইতিহাস, এবং আপনাদের জীবনযাত্রার ধরণ সম্পর্কে ডাক্তারকে বলুন।
ডাক্তার আপনার শারীরিক পরীক্ষা করবেন এবং কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফলাফলের উপর নির্ভর করে ডাক্তার আপনার জন্য উপযুক্ত চিকিৎসা নির্ধারণ করবেন।
কিছু চিকিৎসা বিকল্প:

ওষুধ: ডাক্তার আপনাকে ডিম্বস্ফোটন উন্নত করার জন্য ওষুধ দিতে পারেন।
আইইউআই (IUI): এই প্রক্রিয়ায়, ডাক্তার ধুয়ে পরিষ্কার করা শুক্রাণুকে সরাসরি জরায়ুতে প্রবেশ করান।
আইভিএফ (IVF): এই প্রক্রিয়ায়, ডাক্তার ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু সংগ্রহ করে এবং পরীক্ষাগারে শুক্রাণুর সাথে ফার্টিলাইজ করে।
সার্জারি: ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে, ডাক্তার সার্জারির মাধ্যমে সেগুলো মেরামত করতে পারেন।
কিছু টিপস:

নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
ধূমপান ও অ্যালকোহল পান ত্যাগ করুন।
মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন।
বাচ্চা না হওয়া একটি হতাশাজনক অভিজ্ঞতা হতে পারে। মনে রাখবেন, আপনি একা নন। অনেক দম্পতি এই সমস্যার সম্মুখীন হন। ডাক্তারের সাহায্যে আপনিও সন্তান ধারণের স্বপ্ন পূরণ করতে পারবেন

মেয়েদের বাধক হলে কি হয়

মেয়েদের বাধক হলে,শারীরিকভাবে:
পেটে ব্যথা: তলপেটে, কোমরে, পিঠে, এবং পায়ে তীব্র ব্যথা হতে পারে।
যোনিপথ থেকে রক্তপাত: ঋতুস্রাবের সময় অস্বাভাবিকভাবে বেশি রক্তপাত হতে পারে।
ক্লান্তি: দুর্বলতা, ক্লান্তি, এবং শরীরে অবসাদ অনুভূত হতে পারে।
মাথাব্যথা: মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, এবং বমি হতে পারে।
মেজাজের পরিবর্তন: चिड़चिड़ापन, মন খারাপ, এবং হতাশা অনুভূত হতে পারে।
মানসিকভাবে:

মানসিক চাপ: ঋতুস্রাবের সময় মানসিক চাপ, উদ্বেগ, এবং বিষণ্ণতা অনুভূত হতে পারে।
সামাজিক সমস্যা: ঋতুস্রাবের সময় সামাজিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণে বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
শারীরিক কার্যকলাপে বাধা: ঋতুস্রাবের সময় শারীরিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণে অসুবিধা হতে পারে।
বাধকের তীব্রতা:

বাধকের তীব্রতা ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। কিছু মেয়েদের তীব্র ব্যথা এবং অস্বস্তি অনুভূত হয়, আবার অন্যদের তেমন কোনো সমস্যা হয় না।

করণ:

বাধকের নির্দিষ্ট কোনো কারণ নেই। তবে, কিছু কারণ বাধকের তীব্রতা বৃদ্ধি করতে পারে, যেমন:

হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
জরায়ুর অস্বাভাবিক অবস্থান
এন্ডোমেট্রিওসিস
ফাইব্রয়েড
পেলভিক ইনফ্লেমেটরি ডিজিজ (PID)
চিকিৎসা:

বাধকের চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন উপায় রয়েছে, যেমন:

ওষুধ: ব্যথানাশক ওষুধ, হরমোনাল ওষুধ, এবং আইইউডি (IUD)
জীবনযাত্রার পরিবর্তন: নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, এবং মানসিক চাপ কমানো
কখন ডাক্তার দেখাবেন:

যদি বাধকের ব্যথা তীব্র হয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হয়।
যদি ঋতুস্রাবের সময় অস্বাভাবিকভাবে বেশি রক্তপাত হয়।
যদি ঋতুস্রাবের সময় জ্বর, বমি বমি ভাব, এবং বমি হয়।
যদি ঋতুস্রাবের সময় আপনার দৈনন্দিন জীবনে বাধা সৃষ্টি হয়।
মনে রাখবেন, বাধক একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া। তবে, যদি বাধকের তীব্রতা বেশি হয় এবং আপনার জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তাহলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।

বিয়ের পর বাচ্চা না হওয়ার কারণ

বিয়ের পর বাচ্চা না হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে।

পুরুষদের ক্ষেত্রে:

শুক্রাণুতে অস্বাভাবিকতা: শুক্রাণুর সংখ্যা কম হলে, শুক্রাণুর গতিশীলতা কম হলে, বা শুক্রাণুর আকার অস্বাভাবিক হলে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে।
সম্প্রসারণের সমস্যা: লিঙ্গে সমস্যা থাকলে যেমন, লিঙ্গ উত্থানে সমস্যা, বা বীর্যপাতের সমস্যা, গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: পুরুষদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
জীবনযাত্রার ধরণ: ধূমপান, অ্যালকোহল পান, এবং মাদকদ্রব্য সেবন গর্ভধারণ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
নারীদের ক্ষেত্রে:

আরো পড়ুনঃ   মাথা ব্যাথা ও বমি কোন রোগের লক্ষন মাথা ঘোরা কিসের লক্ষণ

ডিম্বাশয়ের সমস্যা: ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু বের না হলে, বা ডিম্বাণুতে অস্বাভাবিকতা থাকলে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে।
ফ্যালোপিয়ান টিউবের সমস্যা: ফ্যালোপিয়ান টিউব বন্ধ থাকলে, বা ক্ষতিগ্রস্ত হলে ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু একে অপরের সাথে মিলিত হতে পারবে না।
জরায়ুর সমস্যা: জরায়ুর আকার অস্বাভাবিক হলে, বা জরায়ুর ভেতরে কোনো টিউমার বা ফাইব্রয়েড থাকলে গর্ভধারণে সমস্যা হতে পারে।
হরমোনের ভারসাম্যহীনতা: নারীদের শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
জীবনযাত্রার ধরণ: ধূমপান, অ্যালকোহল পান, এবং মাদকদ্রব্য সেবন গর্ভধারণ ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।
অন্যান্য কারণ:

বয়স: বয়স বাড়ার সাথে সাথে গর্ভধারণ ক্ষমতা কমে যায়।
মানসিক চাপ: মানসিক চাপ গর্ভধারণে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
পরিবেশগত কারণ: বায়ু দূষণ, এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে গর্ভধারণ ক্ষমতা কমে যেতে পারে।
কখন ডাক্তার দেখাবেন:

যদি বিবাহিত দম্পতিরা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে নিয়মিত গর্ভধারণের চেষ্টা করেও সফল না হন।
৩৫ বছরের বেশি বয়সী নারীরা যদি ছয় মাসের বেশি সময় ধরে নিয়মিত গর্ভধারণের চেষ্টা করেও সফল না হন।
যদি আপনার অনিয়মিত মাসিক, প্রচণ্ড ব্যথা, যোনিপথ থেকে রক্তপাত, বা অন্যান্য প্রজনন সম্পর্কিত সমস্যা থাকে।
ডাক্তারের সাথে দেখা করার সময়:

**আপনার গর্ভধারণের ইতিহাস, আপনার সঙ্গীর গর্ভধারণের ইতিহাস, ডাক্তার কে জানান

ডিম্বাণু বের না হওয়ার লক্ষন

ডিম্বাণু বের না হওয়ার লক্ষণগুলি সবসময় স্পষ্ট নাও হতে পারে, তবে কিছু লক্ষণ আছে যা ইঙ্গিত দিতে পারে যে ডিম্বাণু সঠিকভাবে বের হচ্ছে না।

সাধারণ লক্ষণগুলি:

অনিয়মিত মাসিক: মাসিকের চক্র অনিয়মিত হলে, দীর্ঘ হলে, বা খুব কম রক্তপাত হলে ডিম্বাণু বের না হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বন্ধ্যাত্ব: দীর্ঘ সময় ধরে গর্ভধারণ করতে না পারলে ডিম্বাণু বের না হওয়াই অন্যতম কারণ হতে পারে।
যোনি শুষ্কতা: যোনি শুষ্কতা হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে হতে পারে, যা ডিম্বাণু বের না হওয়ার সাথে সম্পর্কিত।
ব্যথা: ওভুলেশনের সময় তলপেটে হালকা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। ডিম্বাণু বের না হলে এই ব্যথা অনুভূত নাও হতে পারে।
অন্যান্য লক্ষণ: হঠাৎ ওজন বৃদ্ধি, মেজাজের পরিবর্তন, थकान, মুখের লোম বৃদ্ধি ইত্যাদি ডিম্বাণু বের না হওয়ার লক্ষণ হতে পারে।
উল্লেখ্য যে, এই লক্ষণগুলি অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণেও হতে পারে।

নিশ্চিতভাবে জানতে হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত।

কিছু পরীক্ষা যা ডাক্তার করতে পারেন:

আল্ট্রাসাউন্ড: ডিম্বাশয় পরীক্ষা করে দেখা যাবে ডিম্বাণু সঠিকভাবে বের হচ্ছে কিনা।
রক্ত পরীক্ষা: হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করা যাবে।
ওভুলেশন টেস্ট: ওভুলেশন টেস্ট কিট ব্যবহার করে বাসায়ও পরীক্ষা করা যাবে।
ডিম্বাণু বের না হওয়ার চিকিৎসা:

চিকিৎসা নির্ভর করে সমস্যার কারণের উপর।

হরমোন থেরাপি: হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দূর করতে হরমোন থেরাপি দেওয়া হতে পারে।
ওষুধ: ডিম্বাণু বের হতে সাহায্য করার জন্য ওষুধ দেওয়া হতে পারে।
অস্ত্রোপচার: কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে।
প্রতিরোধ:

স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন: স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নিয়মিত ব্যায়াম করা, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ডিম্বাণু বের হতে সাহায্য করতে পারে।
মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ ডিম্বাণু বের হতে বাধা দিতে পারে। তাই মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করা: ধূমপান ও মদ্যপান ডিম্বাণু বের হতে বাধা দিতে পারে। তাই এগুলি ত্যাগ করা উচিত।

উপসংহার:

মেয়েদের বাচ্চা না হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। চিকিৎসার মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রেই গর্ভধারণ সম্ভব। তবে, ধৈর্য ও আশাবাদী মনোভাব থাকা জরুরি।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

প্রায় ১০-১৫% দম্পতি বন্ধ্যত্বের সমস্যায় ভোগে।
বন্ধ্যত্বের জন্য পুরুষ ও মহিলা উভয়েই সমানভাবে দায়ী।
বন্ধ্যত্বের সমস্যা সমাধানে আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান অনেক উন্নত।
সঠিক চিকিৎসা ও জীবনধারার পরিবর্তনের মাধ্যমে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই গর্ভধারণ সম্ভব।
আশা করি এই তথ্যগুলো আপনাদের জন্য সহায়ক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *