বাদাম স্বাস্থ্যের জন্য গর্ভাবস্থায় খুবই উপকারী।
স্বাস্থ্যকর বাদামের মধ্যে বাদামও অন্তর্ভুক্ত। এটি দেখতে ছোট মনে হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার পাওয়া যায়। অনেকে কাঁচা বাদাম খেতে পছন্দ করেন, আবার অনেকে বিভিন্ন ধরনের খাবারে যোগ করে খায়। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি ভালো খাবার হিসেবে বিবেচিত হয়। সাধারণত, বাদাম যে কোনও সময় খাওয়া যেতে পারে তবে আপনার যদি কম ঘুম বা অনিদ্রার সমস্যা থাকে তবে রাতে ঘুমানোর আগে বাদাম খাওয়া উচিত। আসলে এতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, যা ঘুম আনতে সাহায্য করে। তবে হ্যাঁ, এটাও মনে রাখবেন যে এটি প্রকৃতিতে গরম, তাই গ্রীষ্মের মৌসুমে এটি কম খাওয়া উচিত। আসুন জেনে নিই বাদাম খাওয়ার উপকারিতা এবং গর্ভাবস্থায় এটি খাওয়া উচিত কি না?
গর্ভবতী মহিলাদের কি বাদাম খেতে পারবেন
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গর্ভবতী মহিলারাও বাদাম খেতে পারেন। আসলে এতে পাওয়া যায় ফলিক অ্যাসিড, যা অনাগত শিশুকে সুস্থ করে তোলে এবং জন্মগত ত্রুটি প্রতিরোধ করে। যে মহিলারা গর্ভাবস্থায় বাদাম খান তাদের বাচ্চাদের নিউরাল টিউব ডিফেক্টের সম্ভাবনা কমে যায়। অতএব, গর্ভবতী মহিলাদের অবশ্যই তাদের খাদ্যতালিকায় বাদাম অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, তবে সীমিত পরিমাণে।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য বাদামের স্বাস্থ্য উপকারিতা
বাদাম খেলে মস্তিষ্কও তীক্ষ্ণ হয়
বাদামকে মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ‘সেরা খাবার’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এতে উপস্থিত ভিটামিন স্মৃতিশক্তি রক্ষা করে, অন্যদিকে এতে পাওয়া জিঙ্ক মস্তিষ্কের কোষকে ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। তাই বিশেষজ্ঞরা আপনার মনকে তীক্ষ্ণ রাখতে প্রতিদিন এক মুঠো বাদাম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
এছাড়াও হাড় মজবুত করে
বাদাম খেলে হাড়ও মজবুত হয়। প্রকৃতপক্ষে, এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং পটাসিয়াম পাওয়া যায়, যা সুস্থ ও শক্তিশালী হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্টিওপোরোসিস এবং হাড় সংক্রান্ত অন্যান্য রোগ থেকে বাঁচতে প্রতিদিন বাদাম খান বা বাদাম দুধ পান করুন।
এটি পেটের জন্যও উপকারী
বাদাম ফাইবার সমৃদ্ধ। এগুলো পেট সংক্রান্ত সমস্যা যেমন কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে রাখতে প্রতিদিন ৪-৫টি বাদাম খান এবং প্রচুর পানি পান করুন। তবে মনে রাখবেন এটি অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে পেট সংক্রান্ত সমস্যা বাড়তে পারে।
I am Hasina Khatun, working in a private bank in Bangladesh and also writing for this website in my free time.