কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদিস

সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকা, আমাদের আজকের কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত এবং কোরবানি সম্পর্কে হাদিস সম্পর্কিত পোষ্টে আপনাকে স্বাগতম।  আজকের কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত এবং কোরবানি সম্পর্কে হাদিস সম্পর্কিত পোষ্টে কোরবানির সকল বিষয় কোরআন ও হাদীসের দলিলের আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

কোরবানি কি

আরবি শব্দ করব অথবা কুরবান (قرب অথবা قربان) শব্দটি উর্দূ এবং ফার্সীতে (قربانى) কুরবানি নামে/শব্দে রূপান্তরিত। কুরবানি শব্দের অর্থ হলো-নৈকট্য অথবা  সান্নিধ্য।  পবিত্র কুরআনুল কারিমে কুরবানির একাধিক সমার্থক শব্দের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।

ইসলামি শরীয়া মতে কুরবানী দেয়া হচ্ছে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট ব্যক্তির আল্লাহর তায়ালার সন্তুষ্টি ও পুরস্কার লাভের আশায় নির্দিষ্ট ধরনের পশু জবেহ করা। 

কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত এবং কোরবানি সম্পর্কে হাদিস সম্পর্কিত পোষ্টে আপনি জানতে পারবেন

আজকের কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত এবং কোরবানি সম্পর্কে হাদিস সম্পর্কিত পোষ্টে আপনি নিম্নলিখিত বিষয়গুলি কোরআন ও হাদীসের দলিল সহকারে জানতে পারবেনঃ

  • কুরবানি এর উৎপত্তি
  • কার উপর কোরবানি ওয়াজিব
  • কোরবানির নিসাব
  • নিসাবের মালিক নয় এমন ব্যক্তির কোরবানি
  • কোরবানির সময়
  • শরিকে কোরবানি
  • কোরবানির পশুর স্বাস্থ্যগত অবস্থা
  • কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত
  • নবী করিম (সঃ) এর কোরবানি
  • কোরবানির পশু জবাই প্রসঙ্গ
  • কোরবানির পশুর বয়স
  • কোরবানি করার সময়
  • কোরবানির গোশত খাওয়া ও সংরক্ষণ
  • কোরবানি সম্পর্কে হাদিস
কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদিস
কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদিস

কুরবানি এর উৎপত্তি

আমাদের আদি পিতা হযরত  আদম (আঃ) এর সেই যুগ থেকেই কোরবানি দেয়ার বিধান চালু হয়েছিল। হযরত  আদম (আঃ) এর দুই ছেলে হাবীল ও কাবীল দুই জনেই কোরবানি সমপন্ন করেছিলেন। তাদের একজনের কোরবানি আল্লাহ তায়ালার কাছে কবুল হয়েছিল এবং অন্যজনের কোরবানি আল্লাহ তায়ালার কাছে কবুল হয়নি। পৃথিবীতে সকল কোরবানির ইতিহাস তাদের থেকেই শুরু।

তবে বর্তমান মুসলিম অধ্যুসিত সমাজে যে কোরবানি  দেয়ার প্রচলন রয়েছে সেটা মূলত জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর দেখানো পথ থেকেই। হযরত ইব্রাহীম (আঃ) এর একশত বছর বয়সের পর আল্লাহ তায়ালা তাঁকে যে পুত্র সন্তান দান করেছিলেন, তার সেই একমাত্র কলিজার টুকরা ছেলে হযরত ইসমাইল (আঃ)কে আল্লাহ তায়ালা কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে কোরবানি দেয়ার সূত্র ধরেই আজও সেই কোরবানি দেয়া প্রচলিত আছে।

আরো পড়ুনঃ   ইন্সুরেন্স কি হালাল | ইসলামিক দৃষ্টিতে ইন্সুরেন্স-বীমা

কার উপর কোরবানি ওয়াজিব

প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন, মুকিম, মুসলিম নর-নারী ১০ই জিলহজ তারিখের ফজর থেকে ১২ই জিলহজ তারিখের সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের ভিতরে নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে তার উপর কোরবানি ওয়াজিব। (আল মুহিতুল বুরহানিঃ ৬/৮৫)

কোরবানির নিসাব

যদি কেউ স্বর্ণকে নিসাব ধরে তবে পরিবারের খরচ মেটানোর পর যদি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ তার কাছে যদি সাড়ে ৭ ভরি/তোলা পরিমাণ স্বর্ণ জমা থাকে তবে ওই ব্যক্তির জন্য কুরবানি করা আবশ্যক।

যদি কেউ রুপাকে নিসাব ধরে তবে পরিবারের খরচ মেটানোর পর যদি জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ তার কাছে যদি সাড়ে ৫২ ভরি/তোলা পরিমাণ রুপা জমা থাকে তবে ওই ব্যক্তির জন্য কুরবানি করা আবশ্যক।

সম্পদের নিসাব হলোঃ সাড়ে ৭ ভরি/তোলা স্বর্ণ অথবা এর সমমূল্য কিংবা সাড়ে ৫২ ভরি/তোলা রুপা অথবা তার সমমূল্যের সম্পদ থাকা।  আর কোরবানি আবশ্যক হওয়ার জন্য এ পরিমাণ টাকা বা সম্পদ এক বছর অথবা সারা বছর মালিকানাধীন থাকতে হবে এমন কোনো শর্ত প্রযোজ্য নয়।

নিসাবের মালিক নয় এমন ব্যক্তির কোরবানি

নিসাবের মালিক নয় অথবা নিসাব পরিমান সম্পদের মালিক নয় এমন ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা মুস্তাহাব। তবে নিসাবের মালিক নয় এমন ব্যক্তি কোরবানির নিয়্যতে কোনো পশু ক্রয় করিলে তা কোরবানি করা ওয়াজিব হয়ে যায়। (বাদায়েউস সানায়েঃ ৪/১৯২)

কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদিস
কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদিস

কোরবানির সময় নিয়ে হাদিস

১০ই জিলহজ ঈদের নামাজের পর থেকে ১২ই জিলহজ দিনের  সূর্যাস্ত পর্যন্ত যে কোনো সময়ে কোরবানি করা যায়।  তবে ১০ই জিলহজ অর্থাৎ ঈদের দিন ও দিনে কোরবানি করা উত্তম। আর কোরবানির দিনগুলোতে (জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ) কোরবানি করা সম্ভবপর না হইলে ক্রয়কৃত পশু অথবা পশুর মূল্য সদকা করে দিতে হবে। (বুখারি, হাদিসঃ ৫৫৪৫, আলমগিরিঃ ৫/২৯৫-২৯৭)

শরিকে কোরবানি নিয়ে হাদিস

ছাগল, ভেড়া কিংবা দুম্বা দিয়ে কোরবানি দিলে একা একা কোরবানি দিতে হবে। আর উট, গরু ও মহিষ দিয়ে কোরবানি দিলে সর্বোচ্চ সাতজন শরিক হতে পারবে। সাতের কম যেকোনো সংখ্যায় অথবা ভাগে কোরবানি করা জায়েজ। (সহীহ মুসলিম, হাদিসঃ ১৩১৮, কাজিখানঃ ৩/৩৪৯)

আরো পড়ুনঃ   ইন্সুরেন্স কি হালাল | ইসলামিক দৃষ্টিতে ইন্সুরেন্স-বীমা

কোরবানির পশুর স্বাস্থ্যগত অবস্থা নিয়ে হাদিস

অন্ধ, কানা, লেংড়া অথবা এমন দুর্বল পশু যা জবাইয়ের স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারছে না, যে পশুর কোনো এক অঙ্গ তিন ভাগের এক ভাগ বা তার চেয়ে বেশি কেটে গেছে, যে পশুর এত বেশি পরিমান দাঁত পড়ে গেছে যে সে ঘাস/খাদ্য চাবাতে পারে না, যে পশুর শিং একেবারে গোড়া থেকে ভেংগে গেছে—এসব পশু দ্বারা কোরবানি করা শুদ্ধ হবে না। (তিরমিজি, হাদিসঃ ১৪৯৭, ১৪৯৮, আলমগিরিঃ ৫/২৯৭-২৯৯)

কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদিস
কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও হাদিস

কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত

মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন,

قُلْ إِنَّ صَلاَتِيْ وَنُسُكِيْ وَمَحْيَايَ وَمَمَاتِيْ لِلّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ

অর্থঃ আপনি বলুন, নিশ্চয়ই আমার নামাজ, আমার কুরবানি, আমার জীবন, আমার মৃত্যু; সবই বিশ্বজাহানের প্রতিপালক আল্লাহ তায়ালার জন্য। (সুরা আনআমঃ আয়াত ১৬২)

মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন,

 وَ اتۡلُ عَلَیۡهِمۡ نَبَاَ ابۡنَیۡ اٰدَمَ بِالۡحَقِّ ۘ اِذۡ قَرَّبَا قُرۡبَانًا فَتُقُبِّلَ مِنۡ اَحَدِهِمَا وَ لَمۡ یُتَقَبَّلۡ مِنَ الۡاٰخَرِ ؕ قَالَ لَاَقۡتُلَنَّکَ ؕ قَالَ اِنَّمَا یَتَقَبَّلُ اللّٰهُ مِنَ الۡمُتَّقِیۡنَ

অর্থঃ আর তুমি তাদের নিকট আদমের দুই পুত্রের সংবাদ যথাযথভাবে বর্ণনা কর, যখন তারা উভয়ে কুরবানী পেশ করিল। অতঃপর তাদের একজন থেকে গ্রহণ করা হইল, আর অপরজন থেকে গ্রহণ করা হইল না। সে বলল, ‘অবশ্যই আমি তোমাকে হত্যা করিব। অন্যজন বলল, আল্লাহ কেবল মুত্তাকীদের থেকে গ্রহণ করেন। -(সুরা মায়েদাঃ আয়াত ২৭)

মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন,

وَ لِکُلِّ اُمَّۃٍ جَعَلۡنَا مَنۡسَکًا لِّیَذۡکُرُوا اسۡمَ اللّٰهِ عَلٰی مَا رَزَقَهُمۡ مِّنۡۢ بَهِیۡمَۃِ الۡاَنۡعَامِ ؕ فَاِلٰـهُکُمۡ اِلٰهٌ وَّاحِدٌ فَلَهٗۤ اَسۡلِمُوۡا ؕ وَ بَشِّرِ الۡمُخۡبِتِیۡنَ 

অর্থঃ প্রত্যেক জাতির জন্য আমি কুরবানির নিয়ম করে দিয়েছি; যাতে তারা আল্লাহ তায়ালার নাম স্মরণ করিতে পারে, যে সমস্ত জন্তু তিনি রিযিক হিসেবে দিয়েছেন তার উপর। তোমাদের ইলাহ তো এক ইলাহ; অতএব তাঁরই কাছে আত্মসমর্পণ কর; আর অনুগতদেরকে সুসংবাদ দাও। (সূরা আল-হজ্জঃ আয়াত ৩৪)

মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন,

إِنَّ هَذَا لَهُوَ الْبَلَاءُ الْمُبِينُ (106) وَفَدَيْنَاهُ بِذِبْحٍ عَظِيمٍ (107) وَتَرَكْنَا عَلَيْهِ فِي الْآَخِرِينَ (108)

অর্থঃ নিশ্চয় এটা ছিল সেই সুস্পষ্ট পরীক্ষা এবং আমি তার পরিবর্তে দিলাম জবেহ করার জন্যে একটি বড় জন্তু। আমি পরবর্তীদের মধ্যে তার জন্য (সুনাম ও সুখ্যাতি) রেখে দিয়েছি। (সূরা আস-সাফফাতঃ আয়াত ১০৬-১০৮)

মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন,

 فَصَلِّ لِرَبِّکَ وَ انۡحَرۡ  

অর্থঃ সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে নামায আদায় কর এবং কুরবানী কর। (সূরা কাওসারঃ আয়াত ২)

মহান আল্লাহ তায়ালা কোরআনে বলেন,

لَنْ يَنَالَ اللَّهَ لُحُومُهَا وَلَا دِمَاؤُهَا وَلَكِنْ يَنَالُهُ التَّقْوَى مِنْكُمْ كَذَلِكَ سَخَّرَهَا لَكُمْ لِتُكَبِّرُوا اللَّهَ عَلَى مَا هَدَاكُمْ وَبَشِّرِ الْمُحْسِنِينَ
অর্থঃ এগুলোর গোশত ও রক্ত আল্লাহর কাছে পৌঁছে না, কিন্তু তাঁর কাছে পৌঁছে তোমাদের মনের তাকওয়া। এমনভাবে তিনি এগুলোকে তোমাদের বশ করে দিয়েছেন, যাতে তোমরা আল্লাহর মহত্ত্ব ঘোষণা কর এ কারনে যে, তিনি তোমাদের পথ প্রদর্শন করেছেন। সুতরাং (হে নবী আপনি) সৎকর্মশীলদের সুসংবাদ দিন। (সূরা আল-হজ্জঃ আয়াত-৩৭)

আরো পড়ুনঃ   শীতের সকাল অনুচ্ছেদ | প্যারাগ্রাফ | রচনা

নবী করিম (সঃ) এর কোরবানি

হযরত আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সঃ) দুইটি সাদা-কালো রঙের (বড় শিং বিশিষ্ট) নর দুম্বা কোরবানি করেছেন। আমি দেখেছি, তিনি দুম্বা দুইটির গর্দানে পা রেখে “বিসমিল্লাহি ওয়াল্লাহু আকবার” বললেন, অতঃপর নিজ হাতে দুম্বা দুইটি জবেহ করলেন। (বুখারি, হাদিসঃ ২/৮৩৪)

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেনঃ  নবী করিম (সা.) ঈদগাহে কোরবানির পশু জবেহ করতেন এবং নহর করতেন। (বুখারি, হাদিসঃ ২/৮৩৩)

অতএব কোরবানির পশু জবেহ করার নিয়ম হলো- গরু, ছাগল ও দুম্বা জবেহ করা হবে এবং উট নহর করা হবে। নবী করিম (সঃ) এমনটাই করেছেন।

কোরবানির পশু জবাই প্রসঙ্গে হাদিস

হযরত শাদ্দাদ ইবনে আওছ (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সঃ) বলেনঃ  আল্লাহ তাআলা সবকিছুর উপর অনুগ্রহ অপরিহার্য করেছেন। অতএব, যখন তোমরা জবেহ করবে— তো উত্তম পদ্ধতিতেই জবেহ করো। প্রত্যেকে তার জবেহ করার ছুরিতে শান/ধার দেবে এবং তার পশুকে শান্তি দেবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ২/১৫২)

কোরবানির পশুর বয়স নিয়ে হাদিস

হযরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হাদিসে রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) বলেন, তোমরা (কোরবানিতে) ‘মুছিন্না’ ছাড়া জবেহ করবে না। তবে সংকটের অবস্থায় ছয় মাস বয়সী ভেড়া/দুম্বা জবেহ করিতে পারিবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ২/১৫৫)

কোরবানির পশু বাছাই করার ক্ষেত্রে উটের বয়স অন্ততপক্ষে পাঁচ বছর হতে হবে। আর গরু ও মহিষের বয়স হতে হবে কমপক্ষে দুই বছর। ছাগল, ভেড়া এবং দুম্বার বয়স হতে হবে নুন্যতম এক বছর।

তবে, ভেড়া ও দুম্বার কুরবানির ক্ষেত্রে উপরোক্ত হাদিস থেকে জানতে পারলাম যে, তার বয়স ছয় মাসের হলেও চলবে। তবে তা বিশেষ কোনো কারণে কিংবা কোরবানীর জন্য ক্রয়ক্রীত ভেড়া ও দুম্বাটি দেখতে এক বছর বয়সীর মতো দেখালে।

কোরবানি করার সময় নিয়ে হাদিস

হযরত বারা ইবনে আজিব (রাঃ) বলেন, আল্লাহর রাসুল হযরত মুহাম্মাদ (সঃ)  আমাদের উদ্দেশে খুতবা দিলেন। এবং তাতে বললেন, আমাদের এই দিবসে (কোরবানীর দিনে) প্রথম কাজ নামাজ আদায় করা, এরপর কোরবানি সম্পন্ন করা। সুতরাং যে এভাবে করবে— তার কোরবানি  আমাদের তরিকা (পদ্ধতি) মতো হবে। আর যে আগেই জবেহ করেছে (তার কুরবানি তরিকা মতো হয়নি) অতএব তা পরিবারের জন্য প্রস্তুতকৃত গোশত, (আল্লাহর তায়ালার জন্য উৎসর্গিত) কোরবানি নয়। (সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ২/৮৩২)

অন্য এক হাদিসে আছে কোনো কোনো সাহাবী ভুলক্রমে ঈদের দিন ঈদের নামাজের আগে কোরবানি সম্পন্ন করেছিলেন। নবী করীম হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) তাদের পুনরায় কোরবানি করার আদেশ করেন। (সহিহ বুখারি, হাদিসঃ ২/৮২৭)

কোরবানির গোশত খাওয়া এবং সংরক্ষণ নিয়ে হাদিস

হযরত জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, হাদিসে এসেছে, নবী করিম (সঃ) তিনরাত পর কোরবানির গোশত খেতে নিষেধ করেছিলেন। এরপর তিনি (অবকাশ দিয়ে) বলেন, খাও, পাথেয় হিসাবে সাথে করে নাও এবং সংরক্ষণ করে রাখো। (সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ২/১৫৮)

উম্মুল মুমিনিন মা আয়েশা (রাঃ) এর এক বর্ণনায় আছে যে, খাও, সংরক্ষণ কর এবং সদকা করো। (সহিহ মুসলিম, হাদিসঃ ২/১৫৮)

কোরবানি সম্পর্কে হাদিস

কোরবানির পশু ক্রয় করার পর তা থেকে উপকৃত হওয়া জায়েজ নয়। উপকৃত হলে তার সমপরিমান মূল্য সদকা করে দিতে হবে। (ফাতাওয়া আলমগিরিঃ ৫/৩০০)

আশা করি আজকের এই কোরবানি সম্পর্কে কোরআনের আয়াত ও কোরবানি সম্পর্কে হাদিস নামক পোষ্টটি আপনাদের কিছুটা হলেও সাহায্য করেছে। এই পোষ্টের মাঝে আপনারা কোনো তথ্যে কোনো ভুল পেলে আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন। আমরা আপনাদের তথ্য অনুযায়ী পোষ্টটি আপডেট করে দিব। আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরবানী করার তৌফিক দান করুন। আমিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *